ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫ , ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বিএসএফ মহাপরিচালকের ব্যাখ্যায় দ্বিমত বিজিবির ডিজির ১৪ সদস্যের ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন মৎস্য ভবনের সামনে সড়ক অবরোধ প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের শিশু ধর্ষণ আশঙ্কাজনক বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ সিলেটে পুকুর থেকে সাদাপাথর উদ্ধার ভোলাগঞ্জের পাথর লুট করে ১৫০০-২০০০ ব্যক্তি বাংলাভাষী লোকজনকে ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে দেশছাড়া করতে দেব না- মমতা রোডম্যাপকে স্বাগত জানাই-জোনায়েদ সাকি ইসির রোডম্যাপে খুশি বিএনপি-মির্জা ফখরুল ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা মেসির জোড়া গোলে ফাইনালে ইন্টার মায়ামি টাইব্রেকারে গ্রিমসবির কাছে হেরে বিদায় নিলো ম্যানইউ নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন হামজা ‘মুসলিম হওয়ার কারণে অনেকে আমাকে টার্গেট করেন’ ভারতের ২৬ বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ দেখছেন না শ্রীকান্ত নতুন ক্যাটাগোরিতে বেতন কত কমল বাবর-রিজওয়ানের? বড় ব্যবধানে হারলো সাকিবের ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স বাংলাদেশকে হারানো সহজ হবে না: স্কট এডওয়ার্ডস রাকসু নির্বাচনের তফসিল ৩য় বারের মতো পুনর্বিন্যস্ত পিছিয়েছে ভোট জকসু নির্বাচনে বয়সসীমা থাকছে না
ইউজিসির সতর্কবার্তা

৮ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে প্রতারণার শঙ্কা

  • আপলোড সময় : ২৯-১১-২০২৪ ১০:১৭:৫৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৯-১১-২০২৪ ১০:২৭:০৫ অপরাহ্ন
৮ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে প্রতারণার শঙ্কা
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন এইচএসসিতে উত্তীর্ণ ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। অনেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন। আবার অনেকে সেখানে সুযোগ না পেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন। এছাড়া আর্থিক সামর্থ্য থাকা অনেক পরিবারের সন্তান শুরু থেকেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য মুখিয়ে থাকেন। ভর্তির এ মৌসুমে শিক্ষার্থীরা যেন প্রতারণার ফাঁদে পড়ে কোনো নাম-সর্বস্ব বা অনুমোদনহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হন, সেজন্য সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। গত বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে ৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ইউজিসির ‘নিষেধাজ্ঞা’র আওতায় পড়া এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরে কোনো আইনি সমস্যা সৃষ্টি হলে তার দায় ইউজিসি নেবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ -এর অধীনে বর্তমানে ১১৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ১০৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মামলা-মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বিরাজমান, সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারও প্রকাশ করেছে কমিশন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হালনাগাদ তথ্য নিয়মিত কমিশনের ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
যেসব বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সতর্কবার্তা:
ইবাইস ইউনিভার্সিটি-
সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের কোনো আইনি ভিত্তি নেই। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ করা ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই- তথা বৈধ কোনো কর্তৃপক্ষ নেই। এছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং আদালতে মামলা রয়েছে। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ইবাইস ইউনিভার্সিটির অ্যাকাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও ফলাফল এবং অ্যাকাডেমিক সনদের আইনি কোনো বৈধতা নেই।
আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি-
বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনি ভিত্তি নেই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ করা ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোনো কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির অ্যাকাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, ভর্তি, পরীক্ষা ও ফলাফল এবং অ্যাকাডেমিক সনদের আইনি কোনো বৈধতা নেই।
দ্য ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা-
বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনি ভিত্তি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ করা ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোনো কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী দ্য ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লার একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত অ্যাকাডেমিক সনদের আইনি কোনো বৈধতা নেই।
ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-
নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাসহ সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে। এখনো তা বহাল রয়েছে। তবে ঐ তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।
সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ঢাকা)-
বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে রাষ্ট্রপতি বা চ্যান্সেলর কর্তৃক নিয়োগ করা ভাইস চ্যান্সেলর নেই। ট্রেজারার নিয়োগ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট করা হয়নি। এছাড়া প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠন সংক্রান্ত জটিলতা, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও মামলা চলমান রয়েছে। এ কারণে কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে। তা এখনো বহাল আছে। তবে এ তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।
সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক, একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিষয়েও তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।
দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়-
আদালতের আদেশবলে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সব আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে।
কুইন্স ইউনিভার্সিটি-
২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর সরকার কর্তৃক বন্ধ করা হয়। পরবর্তীতে বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন শর্ত সাপেক্ষে এক বছরের জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছিল। শর্তটি হলো- এক বছরের মধ্যে কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্পিত শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত সব শর্ত পূরণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি সব শর্ত পূরণ করতে সক্ষম না হয়, তবে শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত এ সাময়িক অনুমতি তাৎক্ষণিক বাতিল হবে। শর্তানুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কুইন্স ইউনিভার্সিটি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।
বিজ্ঞপ্তির শেষাংশে বলা হয়, এরপরও কেউ কোনো অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনি সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত অথবা প্রোগ্রাম বাতিল হলে বা অনুমোদিত আসন সংখ্যার অধিক আসনে ভর্তি হয়ে সনদ বাতিল হলে তার দায়-দায়িত্ব ইউজিসির ওপর বর্তাবে না
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স